বঙ্গবন্ধু টানেলে ১৮ দিনে চলেছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯৩৮ গাড়ি

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে গত ১৮ দিনে পার হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯৩৮টি গাড়ি। গত ২৯ অক্টোবর থেকে টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করার পর এই পরিমাণ গাড়ি চলাচল করেছে।

বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের টোল ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২৯ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বুধবার (১৫ নভেম্বর) পর্যন্ত ১৮ দিনে এক লাখ ১৩ হাজার ৯৩৮টি গাড়ি টানেল দিয়ে পার হয়েছে। এ সময় টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার ৭০০ টাকা।’

টানেল প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ) কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ‘টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭ হাজার যানবাহন চলাচলের টার্গেট রয়েছে। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে টোল আদায় সম্পন্ন হচ্ছে। টোল আদায়ের জন্য ১২টি বুথ আছে। এখানে তিনভাবে টোল দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে বর্তমানে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হচ্ছে।’

গত ২৮ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে দেশের প্রথম টানেলটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টোল দিয়ে টানেল পার হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরে থাকা ২০টি গাড়ির জন্য চার হাজার টাকা টোল দেন।

টানেল পাড়ি দিতে প্রাইভেটকার ও পিকআপের টোল হার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০, বাস (৩২ সিটের বেশি) ৪০০, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫০০, ট্রাক (৮ দশমিক ০১ থেকে ১১ টন) ৬০০, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ টাকা টোল দিতে হয়।

শুরুতে টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটিতে দাঁড়ায়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার।