ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কুমিল্লায় মহাসড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ, ফসলের ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়েছে গাছ। কুমিল্লা নগরীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অপরদিকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোর রাত থেকে সন্ধ্যার টানা বৃষ্টিতে শীতের সবজি ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

জানা গেছে, জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হননি। সড়কে যানবাহন একেবারে নেই। নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে বেচাকেনায় ব্যস্ততা থাকলেও বাকি সময়টা অলস পার হয়।

এদিকে, চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিণ, চান্দিনা ও দাউদকান্দি এলাকায় মহাসড়কে গাছ ভেঙে পড়ে আছে। নগরীর রেইসকোর্স, নজরুল অ্যাভিনিউ, ঠাকুরপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় অনেক জমির পাকা থাকা ধান নুয়ে পড়েছে। গোমতীর চরে আবাদ করা আলু, মুলা, লালশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ শীতকালীন ফসলগুলোর ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফসল যেন পানিবন্দি না হয়ে যায় সে জন্য কোদাল হাতে কৃষকরা জমির আইলে ব্যস্ত সময় পার করেন।

কুমিল্লা নগরীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতাএ ছাড়া চৌদ্দগ্রামের পন্নারা, লালমাই উপজেলায় ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। সদর দক্ষিণে কয়েকটি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে।

গোমতীর বালিখাড়া এলাকার কৃষক নোয়াব হোসেন জানান, ৮০ শতক জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। এক সপ্তাহ আগে বীজ রোপণ করেছিলেন। জমিতে পানি জমলে আলুর বীজ পচে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তিনি কোদাল হাতে জমির পাশে পানি সরে যাওয়ার জন্য ড্রেন করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কুমিল্লায় কৃষি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ঝড় থামলে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা নিরুপণ করা যাবে। সে অনুযায়ী আমরা কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।’

আবহাওয়া অধিদফতর কুমিল্লার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কুমিল্লায় ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে কুমিল্লার দক্ষিণ অঞ্চলের ওপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে।’

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। এখন কোনও মহাসড়কে গাছ নেই।’