সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন করার ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রত্যেকেই বার বার সব দলকে অনুরোধ করেছেন, তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য, বৈঠক করার জন্য। মহামান্য রাষ্ট্রপতিও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশন একাধিকবার সব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি দল সে আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি। এখন যদি কোনও দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ যদি বলে যে পক্ষপাতমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এটি আমি মনে করি এটা সত্যের অপলাপ। এর সঙ্গে এই দেশের বাস্তবচিত্রের কোনও মিল নেই।’

তফসিল পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বুঝি না, প্রতিদিন কেন বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তফসিল পেছানো হবে কিনা, পুনর্বিবেচনা করবে কিনা- এই প্রশ্নটা আসে? বিএনপি কি আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে, নির্বাচনে তারা আসতে চায়। যে দলটার বিষয়ে কথা হয়েছে সে দলটাই যদি কিছু না বলে সেটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি যে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। সেই হিসেবে আমাদের আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি। আমাদের আজকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। আজকের তারিখ পার হওয়ার পরে আর নতুন করে কারও জন্য পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ আছে কিনা সেটি নির্বাচন কমিশনই ভালো বলতে পারবে।

‘তবে সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হয়, এই নির্বাচনকে নিয়ে আর কোনও পুনর্বিবেচনা সুযোগ নেই। আমরা কোনও চ্যালেঞ্জ মনে করছি না, আওয়ামী লীগ কোনও চ্যালেঞ্জ মনে করছে না। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

হানিফ বলেন, ‘আমরা মনে করি নির্বাচনে যত বেশি প্রার্থী হবেন তত নির্বাচনে উৎসবের রঙ আরও প্রস্ফুটিত হবে। উৎসবের মাত্রাটাও বৃদ্ধি পাবে। সেই হিসেবে একাধিক প্রার্থী থাকলে সমস্যা নেই। নির্বাচন উৎসবমুখর হোক– এটিই আমরা চাই।’

একই সময় কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ তার মনোনয়নপত্র কুষ্টিয়া জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজার কাছে দাখিল করেন।

এর আগে কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহাসিন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলায় বিভিন্ন দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন।