নৌকার সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধর করার অভিযোগে নৌকা প্রতীকের সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, মারধরের শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর নাম নাঈম। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার দাওড়া গ্রামের সিরাজুল মাস্টারের ছেলে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এসএম আতাউজ্জামান বাবলু কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

এই আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার ফুফাতো ভাই শিল্পপতি আলম আহমেদ ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এখানে নির্বাচন করছেন।

ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, ‘একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আতাউজ্জামান বাবলু স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের কর্মী নাঈমকে থাপ্পড় ও হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের দাওড়া মোড়ে মার্কেটের সামনে একই গ্রামের সিরাজুল মাস্টারের ছেলে নাঈমকে থাপ্পড় ও হুমকি দিয়েছেন চেয়ারম্যান। ওই ভিডিওতে শোনা গেছে, নৌকা প্রতীকের সমর্থক চেয়ারম্যান নাঈমকে বলছেন, “এই কী করস? আমাদের পোস্টার কই?” নাঈম উত্তর দেয়, “জানি না, আপনাদের পোস্টার কই। আমাদের পোস্টার এইখানে আগেই ছিল। আপনাদের পোস্টার ছিল না।” এ সময় সে ভিডিও রেকর্ডিং করলে চেয়ারম্যান বলেন, “এই কিসের রেকর্ডিং? বল কিসের রেকর্ডিং?” বলে তাকে থাপ্পড় মারেন। তখন নাঈম বলে, “আপনি গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? আপনি আমাকে থাপ্পর দিলেন কেন? আমাকে মারছেন কেন? আবারও গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? আপনারাও নির্বাচন করেন। আমরাও নির্বাচন করি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের পোস্টার টানাইছি, তাতে আপনার সমস্যা কী?” তখন চেয়রাম্যান বলেন, “এই তারে ধর! তার মোবাইল নে, মোবাইল নে।” তখন ঈগল প্রতীকের সমর্থক নাঈম দৌড় দিলে তার পেছন দৌড়াতে থাকেন ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আতাউজ্জামান বাবলু।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আতাউজ্জামান বাবলু বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাদের শাষণ করেছি। এ ঘটনার পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাকে হুমকি দিয়েছে।’