নওগাঁ-২ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ

স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এবার নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে লড়ছেন চার জন প্রার্থী। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু, ট্রাক প্রতীকে আখতারুল আলম, ঈগল প্রতীকে মেহেদী মাহমুদ রেজা ও লাঙ্গল প্রতীকে তোফাজ্জল হোসেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চার জন থাকলেও মূল লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে।

পত্নীতলা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন। নির্বাচনে ৭১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪০২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৮০৪ জন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন ১২ জন। 

অপরদিকে, ধামইরহাট উপজেলায় আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৮ হাজার ৩০১ জন, নারী ৭৮ হাজার ৭১৩ ও ট্রান্সজেন্ডার একজন। নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৩০৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬০৮ জন। পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নয় জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।

সকালে পত্নীতলা উপজেলার ৫৬নং পুইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেন। সবার আগে ভোট দিয়ে শহিদুল আলম বেন্টু বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি।’

তার মতো ৮০ বছরের ছলিম উদ্দীন ভোট দিতে এসে বলেন, ‘ভোট দিতে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কারণ জাতীয় ভোট ৫ বছর পর আসে।’

এই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৮৮০ জন। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করে ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। আশা রাখি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল প্রদান করতে পারবো।’

নওগাঁ জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র গাজিউর রহমান (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়াও গড়ে প্রতি চারটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম রয়েছে। রয়েছে স্ট্রাইকিং টিম ও রিজার্ভ টিম। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সব সিনিয়র অফিসারও রয়েছেন নির্বাচনি দায়িত্বে। এর বাইরেও রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। র‍্যাব, বিজিবি, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা রয়েছেন দায়িত্বে। পুরো এলাকাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। কেউ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।