মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

পিরোজপুর শহরতলির নামাজপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ পিরোজপুর জেলা কমিটির সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ফয়সালের বাবা মোফাজ্জেল আকন জানান, রাত ৯টার দিকে ফয়সাল বাড়ি থেকে বের হয়ে সামনের এলাকায় যান। সেখানে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসী সাইদুল ফকির, মিজান, জামাল, সাইদুল ফরাজী অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করে।

তিনি আরও জানান, সদ্যসমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফয়সাল পিরোজপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনি এজেন্ট ছিলেন নামাজপুর এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে। এ ছাড়া নৌকার প্রচারণার জন্য একটি ক্যাম্পও পরিচালনা করতেন।

পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফ বলেন, ‘ফয়সাল আকনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম আছে। যথেষ্ট সংকটাপন্ন তিনি। শরীর থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে, তার কোনও পালস পাওয়া যায়নি। স্যালাইনের মাধ্যমে ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট দিয়ে খুলনায় রেফার্ড করা হয়েছে।’

এদিকে, ফয়সাল আকনের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাতেই শহরে বিক্ষোভ করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের অনুসারীরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ফয়সাল আকনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

এ হামলার খবর পেয়ে সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে গিয়ে ফয়সালের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘ফয়সাল আকনের অপরাধ বিগত নির্বাচনে সে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট হয়েছিল। নৌকার পক্ষে থাকায় আজ এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।’ তিনি হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, পিরোজপুর-১ আসনে নৌকা  প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন শ ম রেজাউল করিম। তার নিকটতম হন ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল।