ওসমানী মেডিক্যালের সিনিয়র স্টাফ নার্স কারাগারে

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসরাইল আলী সাদেককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিনের আবেদন করেন সাদেক। শুনানি শেষে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নূর আলম ভূঁইয়া তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন চাইলে সাদেককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।’

গত ৯ জানুয়ারি এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছয় লাখ টাকাসহ দুই সিনিয়র স্টাফ নার্সকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। এ ঘটনায় সাদেককে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে মামলা করেন হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ। আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেব কারাগারে থাকলেও পলাতক ছিলেন মূল হোতা সাদেক।

মামলার তিন আসামি হলেন- হাসপাতালের নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসরাইল আলী সাদেক, সিনিয়র স্টাফ নার্স আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেব।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নয় বছর ধরে বরখাস্ত অবস্থায় ছিলেন এই হাসপাতালের এক স্টাফ নার্স। চলতি বছরের প্রথম দিকে তিনি কাজে যোগ দেন। এত বছরে তার বেতন-ভাতাসহ প্রায় ৩৬ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে। নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলীর সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা দ্রুত তুলে দেওয়ার জন্য। বিনিময়ে তাদের ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে দর-কষাকষিতে সাড়ে ৬ লাখ টাকায় রফা হয়েছিল। ৯ জানুয়ারি ওই স্টাফ নার্স নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে তাদের কথামতো টাকা নিয়ে আমিনুল ইসলামের কাছে যান। এ সময় গোয়েন্দা দল আমিনুলকে টাকাসহ গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুমন চন্দ্র দেবকে গ্রেফতার করা হয়।