কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সামাজিক বন বিভাগ।  সামাজিক বনায়নের আওতায় ১০ বছর আগে লাগানো গাছগুলোকে কেটে ফেলার জন্য ইতোমধ্যে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। গাছগুলো রক্ষায় পরিবেশবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সামাজিক বন বিভাগকে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ সাংবাদিকদের তথ্যের ভিত্তিতে গাছগুলো রক্ষায় দরপত্র স্থগিত করতে বন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি গাছ লাগানো শেষে এ নির্দেশনা দেন তিনি। 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছেইউএনও এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, কুমারখালীর বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে কতদিন এই সিদ্ধান্ত থাকবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। 

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্রকে একাধিকবার কল দিলেও ধরেননি।

প্রসঙ্গত, কুমারখালীর লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত পাউবোর গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) খাল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। সড়কে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর পূর্বে কয়েক হাজার ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করে বন বিভাগ। ২০২৩ সালে যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার গাছ দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি ও কাটা হয়। চলতি বছরেও ওই সড়কের লাহিনীপাড়া থেকে বাঁধবাজার পর্যন্ত গাছ কাটা হয়েছে। সর্বশেষ বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত আরও তিন কিলোমিটার সড়কের গাছ কাটার জন্য গাছের গায়ে নম্বরিং করে দরপত্র সম্পন্ন করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।