কাউখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই আটক, স্বরূপকাঠীতে হামলা

পিরোজপুরপিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৫নং শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের শংকরপুরে নির্বাচনি প্রচারণাকালে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলির চেষ্টার অভিযোগে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাইকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
শিয়ালকাঠী ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. দেলোয়ার বলেন, শুক্রবার দুপুরে শংকরপুর বাজারে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। তখন সেখানে প্রচারণায় যান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী সিদ্দিকুর রহমান। আমাদের সঙ্গে তাদের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গাজী সিদ্দিকুর রহমানের ভাই কামাল গাজী আমাকে গুলি করার চেষ্টা চালায়। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন কামাল গাজীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুপুর সারে ১২টার দিকে শংকরপুর এলাকায় গণসংযোগে গেলে জেপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে গণসংযোগ করছিলাম। এসময় পেছন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের লোকজন আমাদের উদ্দেশ করে টিপ্পনিমূলক কথা বলে। আমরা বিষয়টি প্রতিবাদ জানালে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় তারা আমার ভাই কামাল গাজীকে ধরে নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের নির্বাচনি ক্যাম্পে আটকে রাখে। এরপর তারা পুলিশে খবর দিয়ে আমার ভাইকে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।
কাউখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনির হোসেন জানান, কামাল গাজীর কাছ থেকে একটি রিভলবার ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরদিকে স্বরূপকাঠী উপজেলার ১০ নম্বর সারূপকাঠী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলামের ৩ কর্মীকে মারধর করে আহত করেছে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সায়েমের লোকজন।
এ বিষয়ে আ.লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, বিকেল ৫টার দিকে ইউনিয়নের করফা বাজারে আমার কর্মী ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. সালামকে মারধর করে আহত করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সায়েমের কর্মীরা। এর আগে দুপুর দুইটায় ইউনিয়নের বিষণ্ডকাঠী এলাকায় নজরুল ইসলামের দুই প্রচার কর্মী নাসিম ও চান মিয়াকে মারধর করে আহত করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সায়েমের কর্মীরা। হামলায় আহত আ. সালাম ও নাসিমকে স্বরূপকাঠী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
/এএইচ/