বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

বগুড়ায় দুই সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়েছে। রবিবার বিকালে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় লামাম্মার মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হামলার কারণ জানা যায়নি। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ঘটনার পর হামলাকারী একজনের নাম পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- মাছরাঙা টিভির বগুড়া জেলা প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বগুড়া লাইভের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আসাফউদ্দৌলা নিওন।

জানা গেছে, রবিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে সাংবাদিক খোরশেদ আলম ও আসাফউদ্দৌলা নিওন বগুড়া শহরের জলেশ্বলীর লামাম্মার মোড়ে একটি দোকানে জুস পান করেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পরপরই মোটরসাইকেলে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত সেখানে আসে। তারা প্রথমে আসাফউদ্দৌলা নিওনের কাছে তার নাম জানতে চায়। এ সময় সাংবাদিক খোরশেদ আলম এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তার ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে দুজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। আক্রান্ত সাংবাদিকদের চিৎকারে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আহত সাংবাদিকরা বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসাপাতালে চিকিৎসা নেন।

হামলার শিকার সাংবাদিক আসাফউদ্দৌলা নিওন বলেন, ‘হামলাকারীরা প্রথমে আমার নাম জানতে চায়। সে সময় খোরশেদ ভাই এগিয়ে গেলে তাকে মারধর শুরু করে। তখন আমি আটকানোর চেষ্টা করলে আমাকেও তারা এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও মারপিটে জখম করে।’

সাংবাদিক খোরশেদ আলম বলেন, ‘জুস পান করে বের হলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা আমাদের মারধর শুরু করে। হামলায় আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে।’ তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।