মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আরও ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মাগুরায় আলোচিত সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পঞ্চম দিনে আরও চার জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রবিবার সকাল ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। এর আগে জেলা কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়।

এ দিন সাক্ষ্য দেন– মাগুরা সদর হাসপাতালের দুই নার্স, অভিযুক্ত হিটু শেখের এক প্রতিবেশী, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের একজন চিকিৎসক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘রবিবার আদালতে চার জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তাদের মধ্যে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেন এবং আদালত সবকিছু শুনে আগামীকাল আবারও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।’

এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘এ মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এ মামলার রায় হবে বলে আশা রাখছি।’

এর আগে এ মামলায় প্রথম দিনে তিন জন, দ্বিতীয় দিনে তিন জন, তৃতীয় দিনে ১০ জন ও চতুর্থ দিনে তিন জন মিলে চার দিনে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

রমজানের ছুটিতে মাগুরা শহরের একটি এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা। এ মামলায় ১৩ এপ্রিল পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১ মার্চ শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে মরদেহ মাগুরায় আনা হয়। জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় চার জনকে আসামি করা হয়। বর্তমানে কারাগারে রয়েছে তারা সবাই।