৯ দিন ধরে অচল শাহ আমানত বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুটি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে একটি নয় দিন ধরে নষ্ট। এর ফলে বিদেশগামী যাত্রীদের প্রচণ্ড রোদের মধ্যেও হেঁটে বিমান থেকে টার্মিনালে ওঠানামা করতে হচ্ছে। কবে নাগাদ নষ্ট বোর্ডিং ব্রিজটি সচল হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিমানবন্দরে দুটি বোর্ডিং ব্রিজ আছে। প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৮টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটের ৩০ থেকে ৩৫টি ফ্লাইট এই দুটি বোর্ডিং ব্রিজ ব্যবহার করে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অ্যারাইভাল ৪ নম্বর গেটের বোর্ডিং ব্রিজটি ঈদের আগের দিন ৬ জুন থেকে বিকল হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত সেটি সচল হয়নি।

আন্তর্জাতিক টার্মিনালের ৪ নম্বর গেটে অবস্থিত বোর্ডিং ব্রিজটি নষ্ট হওয়ায় যাত্রীদের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে।

বর্তমানে দুটি ফ্লাইট একই সময়ে অবতরণ করলে একটি ফ্লাইটের যাত্রীরা ৫ নম্বর গেটে অবস্থিত একমাত্র কার্যকর বোর্ডিং ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারেন। অন্য ফ্লাইটের যাত্রীরা টার্মিনাল ভবনে হেঁটে আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হন।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম খলিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানবন্দরে ৪ ও ৫ নম্বর গেটে দুটি বোর্ডিং ব্রিজ আছে। উভয় বোর্ডিং ব্রিজই ২০০১ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। নিয়মিত মেরামতের মাধ্যমে এগুলো সচল রাখা হয়। বর্তমানে ৪ নম্বর গেটের বোর্ডিং ব্রিজ নষ্ট হয়ে আছে। ঈদের ছুটির কারণে এটির ত্রুটি সারাতে সময় লাগছে। কবে নাগাদ সচল হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ৫ নম্বর গেটে থাকা সেতুটি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে একসঙ্গে দুটি ফ্লাইট অবতরণ করলে সে ক্ষেত্রে একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়।’

তিনি জানান, গেট ৬-এ প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন বোর্ডিং ব্রিজের স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তখন সমস্যা কিছুটা কমে আসবে।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১৭ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট আসা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।