ঈদুল আজহার টানা ছুটির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট তৈরি হয়েছে। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সচল থাকলেও সংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানা, আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি দফতরের কার্যক্রম আংশিক বন্ধ থাকায় কনটেইনার খালাসে ধীরগতি দেখা দেয়।
রবিবার (১৫ জুন) চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে কনটেইনার জমে আছে ৪৩ হাজার ৫০০ টিইইউ’স (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার একক হিসাবে)। চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউ’স হলেও ৩০ থেকে ৩২ হাজার টিইইউ’স কনটেইনার থাকলে সেটিকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। সে হিসাবে বন্দরের ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশ জায়গায় বর্তমানে কন্টেইনার জমে গেছে। এ ছাড়াও বহির্নোঙরে অবস্থান করছে ১২টি কনটেইনারবাহী জাহাজ, যেগুলোতে রয়েছে প্রায় ১২ হাজার কনটেইনার। জেটিতেও ১১টি জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা চলছে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে দিনে গড়ে ৪ হাজার কনটেইনার খালাস হয়। কিন্তু ঈদের ছুটির সময় তা নেমে আসে দৈনিক গড়ে দেড় হাজারে। বেসরকারি ১৯টি অফডক (ডিপো) থেকে অতিরিক্ত সংখ্যক কনটেইনার বন্দরে আসলেও সেই অনুপাতে কনটেইনার ডিপোগুলোতে পাঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে বন্দরের ভেতর কনটেইনার জমে গিয়ে নতুন করে জট সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদের আগে ৪ জুন পর্যন্ত বন্দরে ছিল ৩৬ হাজার ২১৫ টিইইউ’স কনটেইনার। বন্ধের সময় কনটেইনার খালাসে যে ধীরগতি হবে তা মাথায় রেখে স্পেস খালি করা হয়। বর্তমানে ৪৩ হাজারের মতো কনটেইনার আছে। তবে আমাদের ধারণ ক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউ’স। এখন পর্যন্ত অসহনীয় যে জট তা সৃষ্টি হয়নি। আজ রবিবারও তিন হাজার কনটেইনার খালাস হয়েছে। তার মধ্যে আরও দুই হাজারের মতো কনটেইনার যুক্ত হবে। আশা করছি, ধীরে ধীরে কনটেইনার খালাস বাড়বে। তখন চাপ আরও কমে আসবে।’