মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ৭৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের একটি ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
রবিবার (২২ জুন) বিকালে পাঁচ জন উপদেষ্টার একটি প্রতিনিধি দল শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শন এবং প্রকল্পের খসড়া রূপরেখা নিয়ে একটি সমন্বয় সভা করেন। সভা শেষে শিমুলিয়া ড্রেজার বেইজ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
প্রতিনিধি দলে সদস্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি এই টার্মিনালের নকশা চূড়ান্ত করে জমা দিতে। শিমুলিয়াকে একটি আধুনিক, আন্তর্জাতিক মানের ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে পর্যটনের ক্ষেত্রেও উন্নয়ন ঘটানো হবে। তবে কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যায়, তবে তা সবচেয়ে কার্যকর হবে। যদিও সেটি পরের বিষয়। বর্তমানে পরিকল্পনা প্রক্রিয়া চলছে।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বড় প্রকল্পের পর পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা এখানেও দেখা যাচ্ছে। পদ্মা ও যমুনা নদীতে বড় বড় চর জমেছে। সেতু নির্মাণ হলে চর পড়বেই। সরকার যদি নিজের উদ্যোগে খরচ কমিয়ে এই চরগুলো কেটে নেয়, তাহলে এখান থেকে অনেক বালু পাওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই তা পরিকল্পিতভাবে করতে হবে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
২৯.১৩ একর জায়গার ওপর নির্মিতব্য এই ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে তিন বছর। টার্মিনালটি চালু হলে বছরে ২ লাখ ৪ হাজার টিইইউ কন্টেইনার পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করবে। এটি বার্ষিক ১৪৫ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে কবে থেকে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি উপদেষ্টারা।