গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় চুরির অপবাদ দিয়ে মেকানিক্যাল শ্রমিক হৃদয়কে (১৯) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ওই কারখানার এক নিরাপত্তাকর্মী শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে কোনাবাড়ীর সেলিমনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতার শফিকুল ইসলাম (৩০) রাজশাহীর বাগমারা এলাকার হাটমাদনগর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোাবাড়ী থানাধীন হরিনাচালা (সেলিম নগর) এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে ওই কারখানায় নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘গোপন সংবাদে খবর জানতে পারি, শফিকুল ইসলাম কোনাবাড়ী থানাধীন হরিনাচালা (সেলিম নগর) এলাকায় অবস্থান করছে। সোমবার মধ্যরাতে ওই এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।’
শনিবার (২৮ জুন) রাতে নিহত হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রবিবার (২৯ জুন) হাসান মাহমুদ মিঠুন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। মিঠুন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার হাদিরা বাজার গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি কোনাবাড়ী থানাধীন কুদ্দুসনগর এলাকায় ভাড়া থেকে ওই কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৮ জুন) ভোরে কোনাবাড়ীর গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় হৃদয়কে দড়ি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। মারধর করে হত্যার একটি ভিডিও রবিবার (২৯ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
নিহত হৃদয় টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার শুকতারবাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি গ্রিনল্যান্ড কারখানায় ডাইং সেকশনের মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসেবে অস্থায়ীভাবে কাজ করতেন। গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন হারিনাবাড়ী (এসরারনগর হাউজিং) এলাকায় ভাড়া থাকতেন।