গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে পুড়িয়ে হত্যা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের যুবককে দক্ষিণ আফ্রিকায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যার খবরে নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মা এখন দিশেহারা। অপেক্ষা করছেন সন্তানের লাশের জন্য। নিহতের একমাত্র মেয়েও পিতার শোকে কাতর হয়ে পড়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিহতের লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
নিহত কাইয়ুমের বাবা আলী আমজাদ খান বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে আমি সরকারের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এসময় ছেলের লাশ একনজর দেখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান নিহতের মা করিমূন নেছা।

নিহতের বড় ভাই বশির মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার রাতে আফ্রিকায় থাকা আমার আরও চার ভাই কাইয়ুমের মারা যাওয়ার বিষয়টি জানায়। আমরা কাইয়ুমের লাশ দেশে ফেরত আনার জন্য প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম জানান, বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত আব্দুল কাইয়ুমের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের হুড়ারকুল গ্রামের আলী আমজাদের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম (৪০) জীবিকার তাগিদে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে তিনি নর্দানকেফ এলাকায় একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। গত শনিবার বিকালে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) দুই আফ্রিকান যুবক কাইয়ুমের কাছে বাকিতে সিগারেট কিনতে চায়। এ সময় কাইয়ুম বাকিতে সিগারেট দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একসময় আফ্রিকানরা ‘উই কিল’ বলে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই তারা কাইয়ুমের দোকান বন্ধ করে পেট্টোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দোকানের ভিতরে থাকা কাইয়ুম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

/বিটি/এমও/