সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে: সাকি

গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে ভোটাধিকার। কিন্তু এই সরকার মানুষের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর সিলেকশনের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এটা করার একমাত্র লক্ষ্য উন্নয়নের নামে লুটপাট ক্ষমতার তলা পর্যন্ত বিস্তৃত করা। শনিবার যশোরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এসব মন্তব্য করেছেন।

যশোর প্রেসক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তনু হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুধুমাত্র মিছিলের আয়োজন করায় তনুর ভাইয়ের বন্ধুকে অপহরণ করা হয়েছিল। সরকারকে এ ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, এ ধরনের অন্যায় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাময়িক কিছু সুবিধা গ্রহণ সম্ভব হলেও এর পরিণতি বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘১৯৮৬, ১৯৮৮ বা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনগুলো যদি অন্যায় নির্বাচন হয় তাহলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কেন নয়? ভোটারবিহীন নির্বাচন অন্য কেউ করলে তা অবৈধ আর শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ করলে তা বৈধ হয়ে যায় না।’

তিনি বলেন, ৭২ পরবর্তী প্রত্যেক সরকারের একটি মাত্র উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতায় এসে লুটেপুটে খাওয়া। তখন থেকেই ক্ষমতা হচ্ছে সম্পদ বানানোর অস্ত্র। সে কারণে কেউ ক্ষমতায় গেলে তা কুক্ষিগত করতেই সচেষ্ট হয়। তিনি বলেন, জনগণের মুক্তির জন্যে গণতান্ত্রিক কাঠামো, গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন এবং জনগণের কথা বলার মত অবস্থা তৈরি করতে গণসংহতি আন্দোলন তাদের কর্মসূচি পালন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যশোর জেলা সমন্বয়কারী চিন্ময় গোস্বামী পাপ্পু। এসময় গণসংহতির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

/এনএস/টিএন/

আরও পড়তে পারেন:

সহিংসতা অনিয়মে সম্পন্ন ৩য় ধাপের ইউপি নির্বাচন, চলছে ভোট গণনা