ঝালকাঠি সদর থানার এসআই হালিম তালুকদার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও লঞ্চের স্টাফ সূত্র জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী সুন্দরবন-৬ লঞ্চে সদরঘাট থেকে দুই পুরুষ ও এক শিশুসহ ওই নারী লঞ্চের মাস্টার কেবিন ওঠেন। সকালে ওই নারী কেবিন থেকে না ওঠায় লঞ্চের বয়দের সন্দেহ হয়। পরে লঞ্চের অন্য কর্মকর্তাদের জানালে তারা পুলিশ খবর দেয়। এরপরে পুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্ধর করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
লঞ্চের কেবিন বয় লোকমান হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, প্রথমে মনে করেছি ওই নারী ঘুমোচ্ছেন। এজন্য তাকে ডাকা হয়নি। পরে বেলা ১১টা পার হলেও না ওঠায় সন্দেহ হলে পুলিকে খবর দেওয়া হয়।
লঞ্চের সুকানি হাবিবুর রহমান জানান, ঢাকা সদর ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার সময় দুইজন পুরুষ ও এক শিশুসহ ওই নারী লঞ্চে ওঠেন। ঢাকা থেকে আসার পথে ৫ স্থানে এই লঞ্চ ভেড়ে। এর যে কোন স্থানে শিশুসহ অন্য দুইজন নেমে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসআই জানান, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এব্যাপারে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/ এইচকে/