বাড়তি ফি নেওয়ার অভিযোগ চান্দখালী ইসহাক স্কুলের বিরুদ্ধে

বরগুনা

বরগুনার চান্দখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি ও এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্তি ফি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি নীতিমালা মেনেই তারা এই কাজ করছে। 

চান্দখালী মাধ্যমিক স্কুলের অভিবাবকরা এরই মধ্যে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, স্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে ভর্তি কোচিং করানোর নাম করে প্রতি শিক্ষার্থী থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ভর্তি ফরমের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ২০০ টাকা করে নেয়।

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে সপ্তম শ্রেণিতে ৫৩০ টাকা, অষ্টম শ্রেণিতে ৫৬০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে ৫৮০ টাকা করে নিয়েছেন। এছাড়াও ২০১৭ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। 

স্কুল কমিটির বর্তমান সভাপতি বজলুর রশিদ দুলালকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ‘যার টাকা নেই তার ছেলে মেয়েকে এ স্কুলে লেখাপড়া করানোর দরকার নেই।’

এ বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি কোচিং ও টাকাও নেওয়া কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সরকারের নীতিমালার বাইরে কোনও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।’

স্কুলের সভাপতি বজলুর রশিদ দুলাল বলেন, ‘কোনও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা বেশি নেওয়া হয়নি। যদি নিয়েও থাকে তা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য নেওয়া হতে পারে। এছাড়া টাকা বেশি নেওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।’

বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুকুমার চন্দ্র জানান, কোনোভাবেই সরকারি নীতিমালায় নির্ধারিত টাকার চেয়ে এক টাকাও বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ যদি নিয়ে থাকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সরকারি নীতিমালায় ভর্তি আবেদনে ১৫০ টাকা, সেশন চার্জ ভর্তি ফি সর্ব সাকুল্যে মফস্বল এলাকায় ৫০০ টাকা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

/এসটি/