মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার হোসেন সিকদার জানান, মাদ্রাসার আবাসিক ৬০ শিক্ষার্থী দুপুরে ডাল ও লাউয়ের তরকারি খায়। এরপর আসরের নামাযের পর মাদ্রাসার একের পর এক শিক্ষার্থী টয়লেটে যেতে শুরু করে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে কিছু সময় দেখে রাত ৯টার দিকে শিক্ষক (হাফেজ) জহিরুল ইসলামসহ ৩০ শিক্ষার্থীকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আরও ২১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘খাবারে কেউ কিছু মিশিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তা মাদ্রাসার জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হতে পারে।’
অসুস্থ শিক্ষার্থী তাজুল জানায়, দুপুরে খাবার খাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পরে। মাগরিবের নামাজের পর একে একে প্রায় সব শিক্ষার্থীর পেটে ব্যাথা দেখা দেয় এবং কিছু সময় পর ঘন ঘন টয়লেটে যেতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডের সেবিকা মলিনা মণ্ডল জানান, যারা ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে পেটে ব্যাথা, ঘন ঘন টয়লেট ও বমির প্রবনতা রয়েছে। খাবারের বিষক্রিয়ায় এমনটা হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক ডা. গাজী মো. সাইফুজ্জামান জানিয়েছেন এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
/এফএস/
আরও পড়ুন-