মামলায় অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- স্বরূপকাঠীর সোহাগদল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া, আটঘর কুড়িয়ানার ইউপি চেয়ারম্যান শেখর শিকদার, সমুদয়কাঠী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ করিম সবুর তালুকদার, সুটিয়াকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান মো. গাউস তালুকদার ও মো. কাওসার তালুকদার।
মামলার বরাত দিয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মোস্তফা কামাল শামীম জানান, গত ৬ এপ্রিল স্বরূপকাঠী উপজেলার কৌড়িখারা খালের মধ্যে থেকে সুন্দরী, গেওয়াকাঠসহ অন্যান্য গাছভর্তি একটি নৌকা আটক করে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর এ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকালে উপজেলা বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনকে স্বরূপকাঠী পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কবির ফোন করে তার কার্যালয়ে ডেকে নেয়। সেখানে গেলে মেয়র ও তার সঙ্গে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানরাসহ অন্যরা গাছসহ নৌকা ছেড়ে দিতে ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এতে বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন রাজি না হলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যরা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় পৌর মেয়র গোলাম মো. কবির তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মো. কবির বলেন, বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে সে জড়িত নয়। কোনও কাগজে তিনি স্বাক্ষরও নেননি। যা ঘটেছে তার অফিসের(পৌরসভা কার্যালয়) বাইরে ঘটেছে।
/এআর/