‘এমপি হারুনের খবরে লাইক দেওয়া’য় সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সাংবাদিক বাদলঝালকাঠিতে এক সাংবাদিককে মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত সাংবাদিক এইচএম বাদলের অভিযোগ, ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনকে নিয়ে প্রকাশিত খবরে ফেসবুকে লাইক দেওয়ায় স্থানীয় কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সিকদার ও তার লোকেরা পিটিয়ে বাদলের পা ভেঙে দিয়েছেন। তবে বাদলকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কিবরিয়া শিকদার। এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া জানান, ‘এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ না আসায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

আহত সাংবাদিক এইচএম বাদল বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কাঁঠালিয়া কমিটির আহ্বায়ক এবং আঞ্চলিক দৈনিক বরিশাল প্রতিদিনের স্থানীয় প্রতিনিধি। তিনি বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বাদল জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কাঁঠালিয়া উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের পেছনে ধরে নিয়ে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। খবর পেয়ে আত্মীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনায় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের লিংকে ফেসবুকে লাইক দেওয়ার অভিযোগ তুলে আমার ওপর হামালা চালায় তারা।’

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিব রহমান বলেন, ‘বাদলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার পা ও কোমরে গুরুতর আঘাত রয়েছে, চিকিৎসা চলছে।’

বাদলকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বাদলকে মারধর করিনি। এমপির বিরুদ্ধে লেখায় স্থানীয়রা হয়তো মারতে পারে। এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোসহ সাংবাদিক বাদলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে।’

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঝালকাঠি জেলা শাখার আয়োজনে সাংবাদিকরা বুধবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৃহস্পতিবার সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

/এএ/