হাটের ইজারাদার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ২২ তারিখ থেকে চলছে হাট। কসবার প্রতি হাটে চার থেকে পাঁচশ গরু বিক্রি হয়ে থাকে। ঈদের হাটে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বড় পাইকারি ব্যবসায়ীরাও দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি করে এই হাটে গরু আনেন বিক্রির জন্য। এছাড়া, খুচরা ও ছোট পাইকারি ব্যবসায়ীরাও গ্রাম ঘুরে কৃষকদের কাছ থেকে গরু নিয়ে আসেন এই হাটে। এরই মধ্যে এই হাটে দেশি গরু ছাড়াও দেখা মিলতে শুরু করেছে ভারতীয় ও নেপালি গরুর। তবে দেশি গরুর চাহিদাই বেশি।
ঈদের সময় টানা হাট চলে বলে এ গরুর হাটকে কেন্দ্র করে গরু ওঠানো-নামানো, নাওয়া-খাওয়া ও পাহারার জন্য আশপাশের কসবা, বানীয়াশুরি, চরদিয়াশুর, কালকিনির রমজানপুর, চরআইরকান্দি, সাহেবরামপুর, কয়ারিয়া, আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট, বাশাইল, কোটালীপাড়া ও বান্ধাবাড়ি এলাকার কয়েকশ মানুষের সাময়িক কর্মসংস্থান তৈরি হয়।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি রহমত আলী (৭২) জানান, একসময় গোটা দক্ষিণাঞ্চলে গরুর বড় হাট ছিল বর্তমান মাদারীপুর জেলার গোপালপুর এলাকায়। সেখানকার হাট পরিচালনা কমিটির নেতাদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে কসবার মোচন খান, পবন খান, গনি মুন্সী, জহুর আলী খান, কাসেম খানসহ ১০/১৫ জন গরু ব্যবসায়ীরা কসবার এই হাট প্রতিষ্ঠা করেন।
রহমত আলী বলেন, ‘আগে এ হাটে গরু কেনার জন্য ব্যবসায়ীরা ১৫/২০টি বালামি নৌকা (ট্রলার) নিয়ে আসতেন। প্রতিটি নৌকায় দেড় থেকে দুইশ গরু ভর্তি করে নিয়ে যেতেন ব্যবসায়ীরা। এখন তো অনেক জায়গায় গরুর হাট হয়ে গেছে। তাই আগের মতো এত গরু বিক্রি হয় না এই হাটে। তারপরও এই এলাকায় এত বড় হাট আর নেই।’
আরও পড়ুন-
ভাঙছে সৈকত, প্রাণ হারাচ্ছে কুয়াকাটা