কীর্তনখোলায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় আহত ৮

বরিশালবরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে পৃথক তিনটি দুঘটনায় ৫টি লঞ্চ ও একটি স্টিমারের যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এতে ৮ জন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। এছাড়া তাসরিফ-৩ লঞ্চের পেছনের অংশে ফাটল ধরায় চমোনাইর ঘাটে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য লঞ্চটি নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে বরিশাল নদী বন্দও ছাড়ার পর থেকে পৃথক এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল  হুদা সরকার মিঠু। তিনি জানান,সন্ধ্যায় বরিশালের ঘাট ত্যাগ করার সময় বিআইডব্লিউটিসি’র স্টিমার ‘পিএস মাহস’ এর সঙ্গে ‘সুরভী-৯’ লঞ্চের  ধাক্কা লাগে। এতে সুরভী-৯ লঞ্চ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আজমল  হুদা সরকার মিঠু বলেন, ‘এছাড়া রাত ৮ টার দিকে ঘাট ত্যাগ করার সময় এ্যাডভেঞ্জার-১ লঞ্চের সঙ্গে কীর্তনখোল-২ লঞ্চের ধাক্কা লাগে। এতে এ্যাডভেঞ্জার-১ লঞ্চের ২য় তলার রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ওই লঞ্চের ২য় তলায় অবস্থান নেওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৭ থেকে ৮ জন যাত্রী আহত হয়। তবে তাদের কারও অবস্থা গুরুত্বর নয়।

অপরদিকে, বরিশাল নৌ বন্দর থানা পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম জানান,ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশালের ঘাট ত্যাগ করা সময় এমভি তাসরিফ-৩ লঞ্চের সঙ্গে এমভি সুন্দরবন-৮ লঞ্চের ধাক্কা লাগে। এতে তাসরিফ লঞ্চের পেছনের অংশে সামান্য ফাটল ধরে। এরপর লঞ্চটি চরমোনাই ঘাটে জরুরি মেরামতের জন্য নোঙ্গর করে রাখা হয়।
ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পুলিশের সমন্বয়ে ১টি টিম বরিশাল থেকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণ করে লঞ্চটি ছাড়া যাবে কিনা তার সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানান এসআই শফিকুল ইসলাম।