দক্ষিণাঞ্চলে ৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ





বাস চলাচল বন্ধঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির গাড়িকে রাস্তার ন্যায্য হিস্যা না দেওয়ার অভিযোগে দক্ষিণাঞ্চলের আট রুটে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর বেপারী বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছয় রুটে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বাগেরহাট সমিতির বাস সমন্বয় করে চলাচল করলেও বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠি সমিতির কোনও বাস চলতে দেওয়া হচ্ছিল না। তাই আজ থেকে আট রুটেই আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি।’

ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম বলেন, আগে রুপাতলী পর্যন্ত বাস চলাচল করতো। এখন স্ট্যান্ড এগিয়ে রায়াপুর আনা হয়েছে। সংকট নিরসনে বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির একটি সভা ডাকা হয়। বরিশাল মালিক সমিতির সহযোগীতা না পাওয়ায় বৈঠকটি করা সম্ভব হয়নি।

৮ রুটে বাস চলাচলের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে ঝালকাঠি বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। ওই দিন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহামুদ বাচ্চু ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ঝালকাঠির রাস্তায় বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, বরিশাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে ঝালকাঠির ৮ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহার করে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। অথচ এসব রাস্তায় ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির গাড়ি চলতে দেওয়া হয়না।

বাস মালিকদের সমিতির সামনে অবস্থানঅপরদিকে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ তাদের রাস্তা অনুযায়ী গাড়ি বেশি। রেশিও অনুযায়ী ঝালকাঠি সমিতির গাড়ি আগে থেকেই বেশি চলাচল করছে। এ সংকট নিরসনে ২৭ জুলাই বিভাগীয় কমিশনার বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ৬ জেলার বাস মালিক সমিতির সঙ্গে বসে বিরোধের বিষয়টি নিরসনের নির্দেশ দেন। কিন্তু বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি এবং ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম এখন পর্যন্ত সমন্বয় সভা করতে পারেননি। তার ব্যর্থতার কারণেই এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।’

নিয়মের চেয়ে বেশি গাড়ি নামিয়ে বিশৃংঙ্খলা তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন নজরুল ইসলাম খোকন।