দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বলে থেমে থাকেননি বরিশালের হীরা

হীরা খন্দকারদৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বলে থেমে থাকেননি হীরা খন্দকার (৩৮)। নিজের উপার্জনের টাকা দিয়েই সংসার চালাচ্ছেন। রপ্ত করেছেন ১০ ধরনের পশু-পাখির ডাক। চর্চা করছেন পারফর্মিং-আর্টস। নিয়েছেন অ্যাকাডেমিক শিক্ষা। বরিশাল নগরীতে তার বাড়ি। তিনি ৯নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত খন্দকার আলমগীর হোসেন আলমের প্রথম সন্তান।

এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার।

জন্মান্ধ হীরা জানান, পৃথিবীর অনেক মানুষই আছেন, যাদের দৃষ্টিশক্তি নেই। তাদের অনেকের কাছেই জীবনকে মনে হয় মৃতপ্রায়। তবে আমি তা মনে করি না। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ সালে এইচএসসি পাস করেছি। ঢাকা থেকে শপিং ব্যাগ এনে বরিশালের উপজেলা পর্যায়ে বিক্রি করছি।

সরচিত কমেডি, হাস্যরস ও নির্ভুল সু-স্পষ্ট উচ্চারণে খবর পাঠ করতে পারেন হীরা।

ব্যবসার অর্থ কোথায় পেলেন জানতে চাইলে হীরা বলেন, ‘একটি সমিতি থেকে ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। সপ্তাহে ৭৫০ টাকা কিস্তি দিতে হয়।’ ২০১৭ সাল থেকে তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর ভাতা পাচ্ছেন বলে জানান। 

খবর পাঠ, পশু-পাখির ডাক, যানবাহনের ইঞ্জিনের শব্দ হুবহু নকল করার প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জন্মান্ধ বলে শিক্ষিত হয়েও কিছু করতে পারছিলাম না। তাই ভাবলাম এমন কিছু করি যাতে মানুষের চিত্তবিনোদন হয়। সেই আগ্রহ থেকে নিজের চেষ্টায় এগুলো আয়ত্ত করেছি।’

৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ বলেন, ‘হীরা জন্মান্ধ। তবে অত্যন্ত ভালো ছেলে। শিক্ষা-দীক্ষাও রয়েছে। সে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। আমরা তাকে সম্মান ও সহযোগিতা করে থাকি।’