বরিশালে ইভিএম প্রশিক্ষণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

বরিশাল সিটি করপোরেশনবরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের লক্ষ্যে আয়োজিত ইভিএম প্রশিক্ষণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠেলাগাড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রার্থী জাকির হোসনকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২, ২০, ২১ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে ভোটারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় নির্বাচন কর্মকর্তারা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নূরিয়া কিন্ডার গার্টেন, কিশোর মজলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০ জুলাই বিকালে ভোটারদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে যান। বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন ও তার কর্মী-সমর্থকরা প্রশিক্ষণ কাজে বিভিন্ন রকমের বাধা, হুমকি, ভয়ভীতি, অবৈধ প্রভাব বিস্তার, অন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধ অসদাচরণসহ যন্ত্রপাতি ছিনিয়ে নিয়ে নষ্ট করার চেষ্টা চালান। পাশাপাশি ওই প্রার্থী নিজে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও অন্যান্য রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

এ ব্যাপারে সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খান বলেন, ‘প্রার্থী ও প্রার্থী সমর্থকদের এমন আচরণ সরকার ও নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় কাজের বিরোধী এবং প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান পরিপন্থী। এ লক্ষ্যে প্রার্থীকে শাস্তির আওয়তায় আনাসহ প্রার্থীতা বাতিলের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না তা জানতে পত্র পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিত জবাবসহ বরিশালের রিটার্নিং অফিসারের কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখা দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে।’

অভিযুক্ত জাকির হোসেন ইভিএম প্রশিক্ষণ পণ্ড করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শুধু আমার সমর্থক ভোটারদের অজান্তে এ প্রশিক্ষণের আয়োজনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম।’