সকাল ৮টার আগেই বরিশাল কলেজ সেন্টারে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ। ৮টা ৫ মিনিটে ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে।শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে ভোটাররা নৌকায় ভোট দেবেন। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সঞ্জয় রত্ন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভোটকেন্দ্রে ঝামেলা হওয়ায় ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ৭৫০টির মতো ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে তিনি জানান।
সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২নং কেন্দ্রের নারী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা খান শাহিনুল হক বলেন, একটু ঝামেলা হলেও ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল না। তার ওই কেন্দ্রে ৮০০’র বেশি ভোট দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এই দুই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৪০ জন।
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা প্রভাষ কুমার মণ্ডন্ডকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে কেটে দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে অক্সফোর্ড মিশন কেন্দ্রে নিজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন মনীষা চক্রবর্তী।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ওয়াহেদ বালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রুপাতলী জাগুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের শুরুতেই নৌকার পক্ষে ব্যাপক জাল ভোট পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী সরওয়ার। এই দুই কেন্দ্র ১৪টি বুথ রয়েছে।
অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়া নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র প্রাথীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজন ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মাঠে রয়েছেন ছয়জন প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী বশিরুল হক ঝুনু নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। আর ভোট বর্জন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি ওবাইদুর রহমান (মাহবুব)।
বরিশাল সিটিতে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে তিনটিতে ও একটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৯১ জন ও নয়টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন ভোটার।
আরও পড়ুন:
বরিশালে ভোট বর্জনের ঘোষণা বিএনপি প্রার্থীর