প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, শনিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে বড় মাছুয়া স্টিমার ঘাট এলাকা হঠাৎ করে ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে স্টিমারের পল্টুনে ওঠার সিঁড়ি ও তিনটি বসতঘরসহ ছয়টি দোকান বলেশ্বর নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মালেক খান বলেন, ‘গত ৩০ বছর ধরে বেড়িবাঁধের বাইরে ঘাট এলাকায় হোটেল ও মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু নদী ভাঙনে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি চলে গেছে। এতে করে আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
স্টিমার ঘাটের সারেং আলী আজম জানান, ১৯৮৮ সালে বিআইডব্লিউটিসির নির্মিত ঘাটটির মাটিতে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। শনিবার রাতে হঠাৎ করে সেই ফাটল ধরেই দোকান ও বাসাবাড়ি নিয়ে ঘাটের সিঁড়িসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
বড়মাছুয়া স্টিমার ঘাটের তত্বাবধায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘দৈনিক দুটি স্টিমার এই ঘাট থেকে ঢাকা ও খুলনা রুটে চলাচল করে। ঘাট ও সিঁড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের স্টিমারে ওঠানো-নামানোর জন্য দুটি ট্রলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’