পাওনাদারদের ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা

বরিশাল

পাওনাদারদের হত্যা মামলায় ফাঁসাতে নিজের একমাত্র মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) পাম্প হাউসের কর্মচারী কাজী গোলাম মোস্তফা।

বুধবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মোশারেফ হোসেন বলেন, ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা দেনায় আছেন গোলাম মোস্তফা। দেনা পরিশোধ করতে না পেরে একমাত্র মেয়েকে হত্যা করে পাওনাদারদের ফাঁসানোর চেস্টা করে সে। এ জন্য গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মেয়ে সাবিয়া আক্তার অথৈকে (১১) নিজের কর্মস্থল নগরীর সদর রোডের অনামী লেনে বিসিসি’র পাম্প হাউসে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মৃতদেহকে বোরখা পড়িয়ে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন লেবু বাগানে ফেলে রাখা হয়। নিহত অথৈ ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডের তাৎক্ষণিক কোনও ক্লু না পেলেও অথৈয়ের বাবা বাব বার তার পাওনাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছিলেন। পাওনাদারদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ন তথ্য না পাওয়ায় অথৈর বাবাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে গোলাম মোস্তফা দেনাদারদের ফাঁসাতে অথৈকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তবে পুলিশ কমিশনার মামলার তদন্তের স্বার্থে পাওনাদারদের নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম বা অন্য কিছুর সম্পর্কে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের মা সোহেলী ইসলাম রুমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মঙ্গলবার রাতে নগরীর কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কাজী গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়ার জন্য বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য মঙ্গলবার সদর উপজেলার চড়বাড়িয়া ইউনিয়নের সাপনিয়া এলাকায় একটি লেবুবাগান থেকে শ্বাসরোধে হত্যার শিকার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী অথৈয়র লাশ উদ্ধার করে তার মা।