রস্তুম আলী ফরাজী ২০১৪ সালের আগে ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে একবার ও ২০০১ বিএনপি থেকে আরেকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আর ২০০৮ এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. আনোয়ার হোসেন। ডা. রস্তুম আলী ফরাজী এ বছরের প্রথম দিকে আবারও জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। পরে ফেব্রুয়ারিতে মঠবাড়িয়ায় এক জনসভায় রস্তুম আলী ফরাজীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এই আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য ডা. রস্তুম আলী ফরাজী বলেন, ‘আমি কোনও অনিয়ম-দুর্নীতি করি না, এ কারণে মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম। মানুষ আমাকে ভালোবেসে ভোটদিয়ে বিজয়ী করেছে। আমার জনপ্রিয়তার কারণেই জয়ী হয়েছিলাম।’
মনোনয়নপ্রত্যাশী ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবারে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। দলের সভাপতি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। গতবার তো দলের মধ্যে কোন্দল থাকার কারণে হেরেছি।’ এলাকায় যোগাযোগ কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো এলাকাতেই আছি। রোগী দেখি, মাঝে মাঝে এদিক সেদিক যাই কাজে।’
মঠবাড়িয়া আসনটি যদি জাতীয় পার্টি চায় তা তাদের দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসন ছেড়ে দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি দলের সভাপতির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। আমি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর জমাও দিয়েছি। এখন দেখা যাক কী হয়।’
মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য যখন তৃণমূলে ভোট হয়েছে তখন আমি প্রথম হয়েছিলাম। কিন্তু সরকারি চাকুরি করার কারণে আমি সেসময় নির্বাচনে অংশ নিতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। মনোনয়ন পেলে আমি বিজয়ী হবো এরকম সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি হয়েছে। দলীয় মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি।’