অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফেঁসে গেলেন পটুয়াখালী পৌরসভার হিসাবরক্ষক

পটুয়াখালী পৌরসভার হিসাবরক্ষক এস এম শাহিন, তার বহুতল ভবন

জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের দায়ে পটুয়াখালী পৌরসভার হিসাবরক্ষক এস এম শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পটুয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার পটুয়াখালী দুদক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি জানান, পৌর হিসাবরক্ষক শাহিনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাহিনকে আসামি করে ১১ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা করে পটুয়াখালী সদর দুদক। মামলা নং-২০/১৯।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, শাহিনের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে দুদক কমিশন থেকে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখে তিনি দানসূত্রে ১ দশমিক ১৭ একর জমি এবং নিজের ও স্ত্রীর নামে তিনতলা বিল্ডিং ও ৪৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর/অস্থাবর সম্পদসহ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫ হাজার টাকার ঋণ আছে বলে হিসাব দাখিল করেন। ওই সম্পদের বিনিময়ে রূপালী ও ইসলামী ব্যাংক থেকে ৮৫ লাখ এবং জীবন বীমা পলিসির কমিশন থেকে লোন বাবদ ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯০ টাকা, পৌরসভা থেকে ১৫ লাখ ও ডিপিএস থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোনসহ মোট ২ কোটি ২৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০ টাকার উৎস দেখান।
এ তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইসলামী ব্যাংক থেকে ৮৫ লাখ এবং জীবন বীমা পলিসির কমিশন লোন বাবদ ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯০ টাকা থাকা ঋণের ঘটনা মিথ্যা। এছাড়াও ৬০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬০ টাকা যথাযথ উৎস না থাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা হেবামূলে পাওয়া সম্পদের বিষয়েও গরমিল দেখা যায়। কারণ, তার ভাইয়ের আয়কর রিটার্নে কোনও কাগজপত্র না থাকায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া যায়।
পটুয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার জানান, প্রাথমিকভাবে দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পটুয়াখালী পৌরসভার হিসাবরক্ষক শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।