লিখিত অভিযোগে সুভাষ চন্দ্রপাল উল্লেখ করেছেন, সরকারের চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে এক হাজার ১২০ মেট্রিকটন চাল সরবরাহের কাজ পান এলাহী অটোরাইস মিলের মালিক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী। তিনি কোনও প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাব খাটিয়ে গৌরনদী খাদ্য গুদামে পঁচা চাল ও ছেড়া বস্তা দিয়ে আসছেন। এতে বাধা দিলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন ১৮ মে ধান সংগ্রহের জন্য আমরা যখন ব্যস্ত তখন ফরহাদ হোসেন গুদামে চাল দেওয়ার প্রস্তাব করেন। আমি চাল না নিয়ে ধান ক্রয় সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য গুদাম খালি রাখার কথা জানালে তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে রুমের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে আমার টেবিলের ওপর অস্ত্র রেখে ভয় দেখায় এবং হুমকি দেয় উপজেলায় চাকরি করতে হলে তার নির্দেশ মানতে হবে। এরপর চাল না দিয়ে তিনি জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে ৩৬ লাখ ৭২০ টাকার অগ্রিম চেক নেয়।’
খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করি।’
ইউএনও খালেদা নাছরিন জানান, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘১৮ নয়, ১৯ মে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে বিল পাওনা ছিল। বিলের ওঠানোর জন্য চেক নিয়ে এসেছি। হুমকি বা ভয়ভীতি দেখানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি।’