বরিশালে উদ্ধার হওয়া মরদেহ নারায়ণগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ীর

বরিশাল

বরিশালে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নারায়ণগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর (৪৮)। গত ৭ জুন (শনিবার) উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের মুগাকাঠী গ্রামের তালুকদার বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।

নিহত নজরুল ইসলাম চৌধুরী কুমিল্লার সালধর এলাকার রুকু মিয়ার ছেলে। নজরুল চৌধুরী পরিবার-পরিজন নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তিনি ওই এলাকায় স্বর্ণের দোকান চৈতি জুয়েলার্সের মালিক ছিলেন।

শনিবার নিহতের ছেলে মুন্না চৌধুরী ও স্বজনরা শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে মরদেহটি শনাক্ত করেন। পরে মুন্না বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মুন্না চৌধুরী জানান, গত ২ জুন নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং দোকানের স্বর্ণালংকারসহ তার বাবা নজরুল চৌধুরী বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তার কোনও সন্ধান না পেয়ে তিনি ৩ জুন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং করে গত ৪ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী টাওয়ার এলাকায় অনুসন্ধান চালায়। কিন্তু সেখানেও তাকে না পেয়ে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ  ফিরে যায়।

উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, সর্বশেষ ৭ জুন উপজেলার মুগাকাঠী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের একটি ছবি নারায়ণগঞ্জ থানায় পাঠানো হলে নিহতের পরিবার ছবি দেখে নজরুল চৌধুরীকে শনাক্ত করেন। শনিবার নিহতের ছেলে ও ভাইসহ স্বজনরা শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে নজরুল ইসলামকে শনাক্ত করেন।

পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন আরও জানান, মরদেহের শরীরে কোনও আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

হত্যা মামলার বাদী মুন্না চৌধুরীর দাবি, তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে  জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।