ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

বরিশালবরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব রবিপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ফারজানা আক্তার (১৭) বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার (১৭ জুন) রাতে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা সালাম ফরাজী। বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম এ কথা জানান।

ফারজানা বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালঘুনি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

১২ জুন ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ১৩ জুন ফারজানা বিষপান করেন। তিনি ১৬ জুন শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

পুলিশ জানায়, মামলার প্রধান আসামি উপজেলার কবাইর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিনের ছেলে রাজিব ও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। রাজিবের সহযোগীরা হলো তরিকুল ইসলাম, শাওন গাজী, শাওন ফরাজী, জোবায়ের ও রাসেদ। মামলায় তাদের সবাইকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী ও নিহতের বাবা সালাম ফরাজী জানান, ঘটনার দিন ফারজানাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মেয়েকে মিয়ার বাড়ির সামনে বসা দেখতে পাই। এ সময় ফারজানা আমাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে আমি তাকে বকাঝকা করে বাসায় নিয়ে আসি। পরদিন ফারজানা বিষ পান করে। তাকে দ্রুত বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করা পর অবস্থার অবনতি হয়। পরে ডাক্তাররা তাকে বরিশাল মেডিক্যালে রেফার করেন। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৬ জুন তার মৃত্যু হয়।

গারুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার বলেন,‘আমি বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। যারা এ কাজটি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, ‘মেয়েটির পরিবার ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছে। দোষীদের গ্রেফতারে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’