সুগন্ধা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

 

সুগন্ধা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানবরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সুগন্ধা নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ শুরু করেছ প্রশাসন। বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পয়সারহাট এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, ‘সুগন্ধা নদীর পয়সারহাট এলাকায় নদীর পূর্বপাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। নদী ভরাট করায় যুবলীগ নেতা পয়সারহাট গ্রামের মৃত মালেক খানের ছলে জেবারুল খান ও আজাহার তালুকদারের ছেলে জুয়েল তালুকদারকে আটক ও ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।’

ইউএনও জানান, দণ্ডপ্রাপ্তরা নদী ভরাট করে বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম খান এন্টারপ্রাইজকে জায়গা ভাড়া দিয়ে আসছিল। আটকরা আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে ভরাট নদীর জায়গায় রাখা বালু ও পাথর সরিয়ে নিজখরচে মাটি কেটে পুনরায় আগের অবস্থানে নদীর স্রোতে প্রবাহ ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তে আদালতে মুচলেকা দেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া আইনানুগ ব্যবস্থা মেনে নিতে তারা বাধ্য থাকবেন। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে দণ্ডপ্রাপ্তরা ছাড়া পান। এর আগে ওই অবৈধ স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত। ভ্রাম্যমাণ আদালত বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাসকে কচুরিপানা অপসারণের দায়িত্ব দেন।  

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল চন্দ্র দাস জানান, উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে মাত্র। নদী অবৈধ দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। শুধু পয়সার এলাকায়ই নয়, তার আওতাধীন উপজেলার সব জায়গার নদী উদ্ধারে এই অভিযান পর্যায়ক্রমে চালানো হবে।