ট্রলারডুবিতে নিহতদের পরিবার পেলো ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা

ট্রলার ডুবিবঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় সাত জেলে পরিবারকে এক লাখ ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে এই টাকা তুলে দেওয়া হয়। ৪ জুলাইয়ের ওই ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাত জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, নিহত জেলেদের প্রত্যেক পরিবারকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া আহত জেলেদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাগরে ভেসে আসা ১০ জেলের মধ্যে যে সাত জনের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন—ভোলার চরফ্যাশনের পূর্ব মাদ্রাসা এলাকার তরিফ মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫), চরফ্যাশনের উত্তর মাদ্রাসা এলাকার নুরু মাঝির ছেলে অলি উল্লাহ (৪০), একই এলাকার ফজু হাওলাদারের ছেলে অজি উল্লাহ (৩৫), মৃত আবদুল হকের ছেলে মো. মাসুদ (৩৮), শহিদুল ইসলামের ছেলে বাবুল মিয়া (৩০) ও নজিব ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), চরফ্যাশনের রসুলপুর এলাকার আসমান পাটোয়ারীর ছেলে শামসুদ্দিন পাটোয়ারী (৪৫)। অপর দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের ভেলি হ্যাচারি সমুদ্র পয়েন্ট থেকে এক জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) সকালে শহরের সি-গাল সমুদ্র পয়েন্ট থেকে ছয় জন এবং বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে শহরের সমিতিপাড়া, মহেশখালীর হোয়ানক ও রামুর হিমছড়ি সমুদ্র পয়েন্ট থেকে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় ভোলা জেলার চরফ্যাশন এলাকার ওয়াজেদ উদ্দিনের ছেলে জুয়েল (১৭) ও মকবুল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ মনিরকে (৩৮) জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে স্বজনদের মাধ্যমে বাড়ি ফিরে গেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোলা চরফ্যাশনের শামরাজ ঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশে একটি ট্রলার সাগরে পাড়ি দেয়। তাতে মোট ১৪ জন জেলে ছিলেন। ৬ জুলাই (শনিবার) ভোরে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি থেকে ছিটকে পড়েন জেলেরা। পরে ট্রলারটি উল্টে যায়। এরপর সব জেলে নিখোঁজ হন।