ভোলায় ‘গোলাগুলিতে’ ধর্ষণ মামলার ২ আসামি নিহত

ভোলাভোলায় ‘গোলাগুলিতে’ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার দুই আসামি নিহত হয়েছে। তারা হলো, আল আমিন (২৭) ও মঞ্জুর আলম (২৫)। ভোলা সদর উপজেলায় রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভোলা মডেল থানার ওসি ছগির মিয়া প্রথামিকভাবে জানান, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে দক্ষিণ রাজাপুর এলাকায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে ওই দু’জন নিহত হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকসহ থানায় একাধিক মামালা রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বন্দুকযুদ্ধে দুই আসামি নিহত হওয়ার কথা জানালেও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ভিন্ন কথা বললেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করে জানান, মঙ্গলবার রাতে ভোলা থানার একটি মোবাইল টিম রাজাপুরের জনতা বাজার এলাকায় টহল দেওয়ার সময় খবর পায় মেঘনা তীরে দু’দল জলদস্যু গোলাগুলি করছে। বিষয়টি তাকে জানালে তিনি টহল টিমকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ সেখানে গেলে জলদস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এরমধ্যে সেখানে থাকা একটি ট্রলারে জলদস্যুরা পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি করে সেখানে দু’টি লাশ পাওয়া যায়। লাশের পাশে দেশীয় বন্দুক ও কার্তুজ পাওয়া যায়। লাশ দু’টি হাসপাতালে নেওয়ার পর শনাক্ত হয় তারা সদরের চরসামাইয়া ইউনিয়নের সংঘধর্ষণ মামলার আসামি।

মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চরসিফলি গ্রামের এক কৃষকের তার দুই মেয়েকে মেয়েদি কিনে দেন। ১১ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে তাদের বাবা গরু বিক্রির টাকা আনতে ভোলা শহরে গেলে দুই বোন রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী দুঃসম্পর্কের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি লাগাতে যায়। ওই সময় মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া আল আমিন মেয়েটিকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। আলমিনের স্ত্রী ঘরে না থাকার সুযোগে সে ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম মেয়েটির হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুড়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা  তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার ঈদের দিন তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।