‘ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুটির ভরণ-পোষণ রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে’

বরিশালধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া এক শিশুর ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকালে এই সংক্রান্ত এক মামলার রায়ে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ আদেশ দেন।

রায়ে বলা হয়, জন্ম নেওয়া শিশুর বয়স ২১ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে। এক্ষেত্রে শিশুটির ভরণ-পোষণ নির্ধারণ করে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির অর্জিত সম্পদ থেকে আদায় করতে হবে। পাশাপাশি শিশুটি তার মা অথবা বাবা কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার অধিকার রাখে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে আফজাল বেপারী নামের ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। ২০১০ সালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব ডুমুরিয়া এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আফজাল বেপারী গৌরনদীর পূর্ব ডুমুরিয়া এলাকার কামাল বেপারীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী আফজাল বেপারীর প্রতিবেশী।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, আফজাল ও ওই তরুণীর বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে ওই তাকে ধর্ষণ করে আফজাল। এতে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তিনি বিষয়টি আফজালকে জানান। আফজাল বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ ঘটনায় সালিশ-মীমাংসায় ব্যর্থ হলে আফজালের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি মামলা করেন ওই তরুণী। মামলার তদন্তকারী গৌরনদী থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম মৃধা ২০১০ সালের ৩ মার্চ আফজালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রবিবার (১৮ আগস্ট) এই আদেশ দেন।