বরগুনায় ভাড়ানী খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানবরগুনা জেলা শহরে ভাড়ানী খাল দখল করে গড়ে ওঠা পাকা, আধাপাকা ও কাঠের তৈরি অবৈধ ১৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অভিযানে অংশ নেয়।

জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘নদ-নদী সুরক্ষাসহ হাইকোর্টের নির্দেশনায় বরগুনায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য আরও আগেই প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল। অবৈধ দখলদারেরা এ বিষয়ে কর্নপাত না করায় প্রশাসন উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বলেন, ‘‘পঙ্গু সৈনিক’ নামে পরিচিত আবদুর রব নামের একজন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সুপারিশে প্রথমে ভূমি অফিসের মাধ্যমে ৪ শতাংশ খাসজমি বরাদ্দ নেন। পরে আদালতের মাধ্যমে আরও ৫ শতাংশ জমি বরাদ্দ পেয়েছেন তিনি। সেই জমি থেকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে দেড় শতাংশ জমি আবদুল হালিম নামের একজনের কাছে বিক্রি করেন। আবদুর রব এর বাইরেও আরও ৫ শতাংশ জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেন। সেটি ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ভাড়া আদায় করে আসছিলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা জামানত হিসেবেও নিয়েছেন। আবদুর রবের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে বরগুনাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ২১ আগস্ট বরগুনা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ভাড়ানী খালের পাড় থেকে আবদুর রবের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানানো হয়। ওই দিনের সভায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনিচুর রহমান, বরগুনা পৌর মেয়র শাহদাত হোসেন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন প্রমুখ।