সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: বাদীর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার ৪

01পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার বাদীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে পটুয়াখালী পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকার পানামা আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি তৈরি একটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, ১২ রাউন্ড গুলি এবং ৩৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো- মহিপুর থানার সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল মৃধা, তার সহযোগী রবিউল ভূঁইয়া, রবিউল হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম।
র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং মামলা তুলে না নেওয়ায় তার স্বামী সিদ্দিক হাওলাদারকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
নগরীর রূপাতলী র‌্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৮’র উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, ‘সোর্সের মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী শহরের আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।’
এ ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওই চার জনের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম চাপলী এলাকায় সিদ্দিক হাওলাদারকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে শ্রমিক লীগ নেতা শাকিল মৃধা ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় সিদ্দিক বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
সম্প্রতি ওই মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী সিদ্দিকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এতে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার প্রধান আসামি শাকিলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শাকিলের দুই পা এবং এক হাত ভেঙে দেয়। গুরুতর অবস্থায় ওই রাতেই সিদ্দিককে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সিদ্দিকের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।