দফাদারের নেতৃত্বে ইলিশ শিকার, ৫ গ্রামপুলিশসহ ৯ জনের কারাদণ্ড





আটকদের ৯ জনের মধ্যে সাতজন (মাঝে)ভোলার মেঘনায় গ্রামপুলিশের দফাদারের (টিম লিডার) নেতৃত্বে ইলিশ শিকারের দায়ে ৫ গ্রামপুলিশসহ ৯ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওছার হোসেন এ দণ্ড দেন। এ সময় দিন মোহাম্মদ ও জসিম নামে দুই জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের গ্রামপুলিশের দফাদার মো. ইউছুফ, একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ মো. মোশারেফ হোসেন (হেজু), ২ নম্বর ওয়র্ডের গ্রামপুলিশ আব্দুল মন্নান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. হেলাল ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. লোকমান হোসেন। অন্য চারজন হলেন—সদর উপজেলার মো. নুরউদ্দিন, মো. ইউছুফ, মো. অহিদ ও মো. ইব্রাহীম।
মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশের একটি টিম ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযানে নামে। এসময় খাল পয়েন্ট থেকে একটি ট্রলারে ৫ জন গ্রামপুলিশকে পোশাক পরিহিত অবস্থায় মাছ ও জালসহ আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০ কেজি মা ইলিশ ও এক হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেদের দিয়ে মাছ ধরানোর অভিযোগ রয়েছে।
দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের এ অভিযান নির্ধারিত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।