পিরোজপুর জেলা জজ আদালতের পিপি খান মো. আলাউদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১২ সালের ৮ জুলাই সকালে কাউখালীর বড় বিড়ালঝুড়ি গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে উজ্জলকে (১৫) একই গ্রামের আকতার হোসেন আকনের ছেলে লিটন আকন (২৯) ও ঘোষনতারা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে সাহেদ সরদার (৩০) কাউখালী বন্দরের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে উজ্জল নিখোঁজ ছিল। ১২ জুলাই উপজেলার বড় বিড়ালঝুড়ি গ্রামের একটি পানের বরজের নালা থেকে উজ্জলের মৃতদেহ উদ্ধার করে কাউখালী থানা পুলিশ। উজ্জলকে হত্যার পর তার মৃতদেহ ওই নালার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। উজ্জলের কাছে থাকা সাড়ে ১২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় ১২ জুলাই উজ্জলের বাবা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ লিটন ও সাহেদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।