নিখোঁজের ৭ দিন পর কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

মেহেদী হাসান

ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটের সুরভী-৯ লঞ্চ থেকে নিখোঁজের ৭ দিন পর বরিশালের হিজলা উপজেলার ভাষানচর এলাকার মেঘনা নদী থেকে মেহেদী হাসান নামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মেহেদী হাসান বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর মুন্ডপাশা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আব্দুল হালিম বিশ্বাসের ছেলে। সে মায়ের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। মেহেদী উত্তরা ট্রাস্ট কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ছিল।

হিজলা থানার এএসআই মো. হাসনাইন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাদের ধারণা লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে মেহেদী নিখোঁজ হয়েছিল।

নিহতের মামা নাজমুল হক মুন্না জানান, গত ১১ জানুয়ারি ঢাকা সদরঘাট থেকে মেহেদী হাসানকে নিয়ে তার মা সুরভী-৯ লঞ্চে পৃথক কেবিনযোগে উজিরপুরের গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত এগারোটার দিকে নিজের কেবিনে ঘুমাতে যায় মেহেদী। ১২ জানুয়ারি ভোরে বরিশাল টার্মিনালে লঞ্চ ভিড়লে লঞ্চ থেকে নামার জন্য ছেলের অপেক্ষা করছিলেন মা। দীর্ঘ সময় পর কেবিনে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার (মেহেদী) মোবাইল, ব্যাগ ও জুতা কেবিনে ছিল। অনেক খোঁজাখুজি করেও মেহেদীর সন্ধান না পেয়ে ওইদিনই কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।