প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা করতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন

 

1

দেড় লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মিথ্যে অভিযোগ এনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে থানায় মামলা করতে গিয়ে অভিযোগকারী নিজেই ফেঁসে গেছেন। তবে ঘটনার রহস্য উম্মোচন করতে গিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হলেও মারামারির ঘটনা ঘটায় পুলিশ উভয়পক্ষের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) খাইরুল আলম বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন হরিনাফুলিয়ার নতুন হাটখোলা এলাকার হারুন মোল্লার ছেলে ও গরুর ব্যবসায়ী পান্নু মোল্লা একটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে আসেন। লিখিত ওই অভিযোগে তিনি দাবি করেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গরু কেনার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে সোনামিয়ার পোল সংলগ্ন এলাকায় আউয়াল সিকদারের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে খান বাড়ির পোল এলাকা পৌঁছালে তিনজন লোক তার গতিরোধ করে মারধর করে। পরে একজন পকেট থেকে চাকু বের করে ভয় দেখিয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।  ছিনতাইকারীদের মধ্যে মাসুম (২৫) নামের একজনকে চিনতে পারেন পান্নু।

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মাসুমকে আটক করা হয়। কিন্তু মাসুম দাবি করে ভাড়া কম দেওয়ায় তার খালাতো ভাই অটোচালক শাহাদাতের সঙ্গে পান্নুর কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হলে চালক শাহাদাতকে মারধর করে পান্নু। এরপর মাসুম ও শাহাদাত মিলে পান্নুর কাছে যান। কিন্তু পান্নু লোকজন নিয়ে তাদের উভয়কে মারধর করে। তবে ছুরি দিয়ে ভয় দেখানো কিংবা টাকা পয়সা ছিনতাইয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

এরপর পুলিশ অভিযোগকারী পান্নুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পান্নু তার দেওয়া অভিযোগে উল্লেখকৃত ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যে বলে স্বীকার করেন। পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মারামারি এবং বাদীর মিথ্যে ছিনতাইয়ের অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাই মেট্রো অধ্যাদেশ অনুযায়ী উভয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।