গৌরনদী উপজেলা সীমান্ত লকডাউন





Barisal-Simanto-Bondho-PIc-বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সীমান্ত লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন।





গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধের জন্য সীমান্ত এলাকা বিশেষ করে পালরদী নদীর খেয়াঘাটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশদ্বার গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক বিভিন্ন সীমান্তে টহল দিচ্ছে। মাদারীপুরে করোনার ঝুঁকি থাকায় গৌরনদীতে যেন তা ছড়িয়ে না পড়তে পারে, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান জানান, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লোকজন অবাধে গৌরনদীতে যাতায়াত করছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টরকী বন্দরে পালরদী নদীর ওপর ব্রিজে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। গৌরনদীর সীমান্তবর্তী পালরদী নদী ও ভূরঘাটা-বাকাই খালের ১২টি পয়েন্টে খেয়া নৌকায় লোকজন পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাদারীপুরের লোকজনের গৌরনদীতে যাতায়াত ঠেকাতে টরকী বন্দর, গৌরনদী বন্দর, গৌরনদী মাঝের খেয়াঘাট, পিঙ্গলাকাঠি বাজার, হোসনাবাদ বাজার, কয়ারিয়া, কুতুবপুর খেয়াঘাট ও ভূরঘাটা-বাকাই খালের বাকাই বাজার, মেদাকুল বাজার, সালতা খেয়াঘাটসহ ১২টি খেয়াঘাটে পারাপার বন্ধ করা হয়েছে। এরপর থেকে দুই প্রান্তের মানুষ সীমান্তে জড়ো হলে রবিবার থেকে টরকীচর ও বাকাই ঘোষেরহাট ব্রিজের ওপর বাঁশ দিয়ে সীমান্ত পথও আটকে দেওয়া হয়।
টরকী বন্দর খেয়াঘাটের মাঝি রাকিব হাওলাদার জানান, পালরদী নদীতে প্রতিদিন ৩টি খেয়া নৌকায় কালকিনি উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ৪ হাজারের অধিক মানুষ ও মালামাল পারাপার করা হয়। করোনা বিস্তার রোধে থানা পুলিশ খেয়াঘাটে এসে খেয়া নৌকায় পারাপার বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে পুলিশ নদীর তীরে টহল দিচ্ছে।