দুই দিনের ব্যবধানে করোনা পজিটিভ থেকে নেগেটিভ

করোনাভাইরাসবরিশালে দুই দিনের ব্যবধানে করোনা পজিটিভ আসা এক নারীর নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের বাসিন্দা রাশিদা রোক্সানার নমুনা পরীক্ষায় এমন রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শেষ রিপোর্টের ফল নেগেটিভ আসায় তিনি করোনামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।

রাশিদা রোক্সানা জানান, কর্মস্থল কোটালীপাড়ায় হওয়ায় বাড়ি আসার আগে ২৫ জুলাই কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নমুনা প্রদান করলে ২৬ জুলাই ফরিদুপর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষায় ফল পজিটিভ আসে। ওই সময় তিনি কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েন। কারণ তার শরীরে করোনার কোনও উপসর্গই ছিল না। তারপরও তিনি কৌতুহলবশত নমুনা পরীক্ষা করালে ওই রিপোর্ট আসে।

পজিটিভি রিপোর্ট পাওয়ার পরদিন ২৭ জুলাই আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে পুনরায় নমুনা প্রদান করেন তিনি। ২৮ জুলাই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্টে তার ফল আসে নেগেটিভ। রিপোর্ট পাওয়ার পর রাশিদার মনে হয়েছে এটি ঠিক।কারণ পূর্বের রিপোর্ট পজিটিভ আসলেও তার মধ্যে করোনার বিন্দুমাত্র লক্ষণ ছিল না। তবে কি কারণে পজিটিভ এসেছে তা দেখার জন্য নিজ বাড়িতে ফিরে আবার নমুনা দেন।

দুই দিনের ব্যবধানে দুই জেলার দুই রকমের রিপোর্ট কোনটি মেনে চলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটা কথা আছে তা হলো ফলস পজিটিভ এবং ফলস নেগেটিভ। এমন ঘটনা প্রতিটি মেশিনে একটি হয়ে থাকতে পারে। তবে সর্বশেষ পরীক্ষায় রাশিদার নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় তিনি করোনামুক্ত।

বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, মেডিক্যাল সাইন্সে কিছু কথা থাকে যার কোনও ব্যাখ্যা থাকে না। যে মেশিন যে রকম রিপোর্ট দিয়েছে সেই অনুযায়ী তা প্রদান করা হয়েছে।