ভোলায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

 

পুলিশের হাতে আটক তিন আসামিভোলার মনপুরায় খালুর বাড়িতে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৬ বছরের এক কিশোরী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ধর্ষিতা কিশোরীকে দিয়ে গ্রেফতারকৃতদের শনাক্তকরণসহ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন জনকে আটক ও এক মোটরসাইকেল চালকের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনপুরা থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন।  

এর আগে গত সোমবার রাত ১০টায় উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের আন্দিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ধর্ষিতা ওই কিশোরী খালু কাইয়ুম বেপারির বাড়ি থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে মুখবেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে পাঁচ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। তাদের মধ্যে আটক হয়েছেন শাকিব, করিম ও জোবায়ের। পলাতক রয়েছে শামীম ও রুবেল। এদের বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।

কিশোরীর খালু কাইয়ুম বেপারি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল আজহায় ঢাকা থেকে মনপুরায় খালু কাইয়ুম বেপারির বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয় সে। ওই সময় আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শাকিব, শামিম, জোবায়ের, করিম ও রুবেল টিস্যু দিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চারতলা ভবনের দোতলায় রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। এরপর হাত, পা ও মুখবেঁধে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায় পাশের কুলাগাজী তালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে। সেখানে নিয়ে ফের ধর্ষণসহ তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ভোরে আসামিরা কিশোরীকে হাত, পা বাঁধা অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে তাকে।

তবে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার পুলিশ ঘটনা জানতে পারলে ওই কিশোরীকে হেফাজতে নিয়ে যায় এবং রাতভর অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করে। শনাক্তকরণ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন জনকে আটক করা হয় এবং রহিম নামে একজন জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, সোমবার কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ খবর পেয়ে অভিযানে গিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে কিশোরী বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করেছে। গ্রেফতারকৃত তিন জনকে কিশোরী শানাক্ত করায় মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। পলাতক অপর দুই আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।