বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউপি উপ-নির্বাচন

অফিস ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিএনপি-আ.লীগের

ভাঙচুর করা একটি অফিসবরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কলসকাঠী বাজারে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় বিএনপি প্রার্থীর ছেলেসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এই হামলার অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয় বিএনপি প্রার্থীর লোকজন ভাঙচুর করেছে বলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।

কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার জানান, শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আকস্মিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালায়। তারা অফিসের চেয়ার-টেবিল এবং অফিসের সামনে থাকা ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বাধা দিলে বিএনপি প্রার্থী শওকত হোসেন হাওলাদারের ছেলে কামাল হোসেন হাওলাদারসহ ৫ জনকে মারধর করে হামলাকারীরা।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়া বলেন, ‘আমরা বিএনপির নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করিনি। বিএনপি-জাতীয় পার্টি সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।’

আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি আপনাদের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করলো কীভাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে লোকমান হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকরা সবসময় আওয়ামী লীগের দোষটাই দেখেন।’ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফয়সাল অহিদ মুন্না তালুকদারও অভিযোগ করেন, বিএনপি’র সমর্থকরা তাদের অফিস এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে।

বিএনপি প্রার্থী শওকত হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের অফিস ভাঙচুর করে পরে আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের অফিস ভাঙচুর করেছে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করবে। যাতে নির্বাচনের দিন আগামী ২০ অক্টোবর আমাদের কোনও নেতাকর্মী মাঠে থাকতে না পারেন। এটা তো আওয়ামী লীগের পূর্বপরিকল্পিত ছক।’

এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ‘কলসকাঠী বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নির্বাচনি দুটি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’