চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

অভিযুক্ত মো. আবদুল জব্বার আকন চাকরি দেওয়া নামে প্রতারণার মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পটুয়াখালীর বাউফলের কালিশুরী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. আবদুল জব্বার আকনের বিরুদ্ধে। উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের মো. আবদুল খালেক হাওলাদারের মেয়ে মোসা. রুমানা বেগম (২৯) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জনা গেছে, জব্বার আকন নামের ওই তহশিলদার ভূমি অফিসে পিয়ন পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুমানার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় রুমানা চাকরির আবেদন ফরম পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নগদ ৫ লাখ টাকা জব্বারের কাছে জমা দেন। জব্বার ৫ লাখ টাকা অগ্রিম গ্রহণ করে অফিসিয়াল সিলসহ স্বাক্ষর করেন। তবে টাকা নেওয়ার দুই বছর পার হলেও চাকরি বা টাকা কোনোটাই দিচ্ছেন না জব্বার।

তহশিলদার জব্বারকে টাকা দেওয়ার সময় সাক্ষি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি অফিসের নাজির মো. রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রুমানা আমার উপস্থিতিতে তহশিলদার জব্বারকে চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেন।’

রুমানা বেগম বলেন, ‘ধার-দেনা করে জব্বার আকনকে পিয়ন পদে চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছি। দুই বছর পার হলেও তিনি আমাকে চাকরি দেননি। আমার টাকাও ফেরত দেননি। টাকা চাইলে আমাকে গালমন্দ ও জীবন নাশের হুমকি দেন।’

এ বিষয় জব্বার আকনের কাছে জানতে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে চিনি না। তার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেইনি।’

বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন,  ‘এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদান্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, তহশিলদার আব্দুল জব্বার ইতোপূর্বে যেসব ভূমি অফিসে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, অধিকাংশ কর্মস্থল থেকেই তার বিরুদ্ধে একই জমি একাধিক ব্যক্তির কাছে লিজ প্রদান এবং জমি মিউটেশন নামজারি করানোর নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।